দাকোপে একের পর এক সদস্যদের টাকা নিয়ে উধাও হচ্ছে  এনজিও

দাকোপে একের পর এক সদস্যদের টাকা নিয়ে উধাও হচ্ছে  এনজিও
পাপ্পু সাহা ,দাকোপ(খুলনা)প্রতিনিধি:
খুলনা জেলার দাকোপ থেকে একের পর এক সদস্যদের টাকা নিয়ে উধাও হচ্ছে সুদ ব্যবসায়ী এনজিও। প্রতারণার শিকার দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত দুই বছরে দাকোপ থেকে টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে মুন ফাউন্ডেশন,কয়রা মহিলা উন্নয়ন সংস্থা। সম্প্রতি উধাও হয়েছে চলন্তিকা যুব সোসাইটি ও ডে নাইট পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থা নামের দু’টি সংস্থা।এদের মধ্যে আর্থীক লেনদেন করার জন্য কোনটির  বৈধ অনুমোদন আছে আবার কোনটির নেই।
 সম্প্রতি লাপাত্তা হওয়া এনজিও দু’টির কর্মীরা সদস্যদের কাছ থেকে দৈনিক ১০টাকা থেকে শুরু করে গ্রাহকের সাধ্য ও চুক্তি অনুযায়ী সঞ্চয় আদায় করত। প্রতি ১২ মাস পর ১৩ মাসে সদস্যদের মূল টাকাসহ সুদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রথম প্রথম নিয়ম মাফিক হয়ে পরে আর হয়নি।
চুনকুড়ি দাসপারা হতদরিদ্র গৌর দাস বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে  দৈনিক টাকা সঞ্চয় করে ৯মাস ধরে ডে নাইট সংস্থার কর্মীর কাছে সঞ্চয় জমা করেছি আমার টাকা আমি পাব তো? একই ধনণের প্রশ্ন  করেন প্রান্ত সাহা  বলেন সে তার ছোট্ট দোকান থেকে প্রতিদিন ৫০টাকা করে সঞ্চয় দিয়েছি আমার কষ্টার্জিত টাকা ফেরত দেবেতো?  মটর সাইকেল গ্যারেজ সিদ্ধাত্ব বলেন এত কষ্ট করে উপজিত টাকা ফেরত পাবোতো।
 বাজুয়া বাজারে এমন শত শত গ্রাহক আছে যাদের আরো অনেক বেশি টাকা আছে। এমনি করে অগনিত সদস্য সংস্থা দু’টিতে সঞ্চয় করে প্রতারণার শিকার হয়েছে। এদিকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সংস্থা চলে যাওয়ায় বিপদে রয়েছে সংস্থার কর্মীরা। কারণ এরা সবাই স্থানীয় বাসিন্দা তাই সদস্যরা তাদের টাকার জন্য কর্মীদের  সাথে ইতমধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মীরা বলেন, এমনটা হবে আমরাও ভাবতে পারিনি চাকুরী করতে এসে এখন বিপদে পড়েছি। সংস্থা দু’টির শাখা ব্যবস্থাপকরাও স্থানীয়, তাই তাঁরা রয়েছেন আরও ঝুঁকির মধ্যে। মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও  তাদের সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুল আলম বলেন, আমি ফেসবুকের মাধ্যম বিষয়টি জেনেছি, এখনও কেউ অভিযোগ করেনি তার পরও আমি সংস্থা দু’টির বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছি।
অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক চলন্তিকা যুব সোসাইট ও ডে নাইট পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থায় তাদের টাকা সঞ্চয় করেছিল তাই দাকোপের বাজুয়া এবং পৌরসভা চালনাতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি যখন তখন সহিংসতায় রূপ নিতে পারে বলে আশংকা করছেন এলাকাবাসী

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment